সুপ্রিম কোর্ট এবং জায়েদ খান, নিপুণ আক্তার (ইনসেটে)
সুপ্রিম কোর্ট এবং জায়েদ খান, নিপুণ আক্তার (ইনসেটে)

নিপুণ-জায়েদ দ্বন্দ্ব: আপিল শুনানির দিন পেছাল

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আপিল শুনানির দিন আবারও পিছিয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ জুন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার (২৩ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

এর আগে গত ৮ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশের পরেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসায় নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান।

পরে ১৩ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খানকে কঠোরভাবে পালন করতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। ভোটারদের রায় মেনে নেননি নিপুণ। আপিল করেন আপিল বোর্ডে। পাশাপাশি জায়েদ খানের নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তার মধ্যে অন্যতম, নোট দিয়ে ভোট কিনেছেন জায়েদ খান।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর শপথ নেন নিপুণ। আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান।

জায়েদ প্রার্থিতা ফেরত পেলে আবারও আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার আপিল করলে জায়েদ ফিরে পান পদ। কিন্তু উচ্চ আদালতে আবারও আপিল করেন নিপুণ। সেই আপিলের রায় এখনও হয়নি, যা নিয়ে দুই প্যানেলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।