পি কে হালদারের ৫৯ একর জমি জব্দের আদেশ
প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার)

পি কে হালদারকে বাংলাদেশে ফেরানো প্রসঙ্গে যা বললেন ভারতীয় আইনজীবী

হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কলকাতায় গ্রেফতার পি কে হালদারকে দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। আগামী ২৭ মে রিমান্ড শেষে তাকে তোলা হবে আদালতে।

ভারতে পি কে হালদারকে গ্রেফতারের পর থেকে তাকে বাংলাদেশে ফেরানোর বিষয়টি হয়ে ওঠেছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। গুঞ্জন রয়েছে ভারতের পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার। তবে বাস্তবে তা কতটুকু সম্ভব? কী বলছেন ভারতীয় আইনজীবী?

ভারতের অর্থ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থা ইডির দফতরে এ মুহূর্তে রাত-দিন জেরার মুখোমুখি পি কে হালদার। সেই সঙ্গে জেরা চলছে তার ভাই প্রাণেশ হালদার ছাড়াও স্বপন, উত্তম মৈত্র এবং ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদারের।

ইডি সূত্রে জানা যায়, জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বিষয়টি অন্যতম। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ইডির গোয়েন্দারা ওই ব্যক্তিকেও স্ক্যানারে রেখেছেন।

প্রথম দফায় তিন দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনসহ মোট ১৩ দিন ইডির রিমান্ডের পর আগামী ২৭ মে কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে তোলা হবে পি কে হালদারসহ সাত জনকে।

আদালত সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে এবার রিমান্ড না চেয়ে জেলহেফাজতে রেখেই জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করতে পারে ইডি।

এদিকে, চলমান আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন ইডির আইনজীবীরা। মানি লন্ডারিংয়ের একটি মাত্র অভিযোগ হলেও বিচারাধীন বিষয় বলে পি কে হালদারকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরানোও চাপ হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর। তবে দুই দেশের সরকার ইতিবাচক হলে অর্থপাচারে অভিযুক্তকে বাংলাদেশে ফেরানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

সিনিয়র আইনজীবী এবং ইডির পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি এখন এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখানে কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার জায়গা নেই। তদন্ত মাত্র শুরু হয়েছে; বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনেক দেরি। তাই এই ‍মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পি কে হালদারকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে কী হবে না সেটা বলা ঠিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, ভারতে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হতে পারে। আর পি কে হালদারের বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তে যদি তিনি দোষী প্রমাণ হন তবেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগে বাংলাদেশে ফেরানোর বিষয়টি খুবই অপরিপক্ব মন্তব্য বলে বিবেচিত হবে।

গত ১৪ মে কলকাতার উত্তর ২৪ পরগনা থেকে অর্থপাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি গ্রেফতার ব্যক্তিদের একটি বাড়ি সিলগালা করে জব্দ করে এবং বেশ কিছু জরুরি কাগজপত্র উদ্ধার করে।

সূত্র: সময় টিভি