সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করল দুদক
বিচারক (প্রতীকী ছবি)

সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করল দুদক

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অধস্তন আদালতের সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার (১২ জুন) দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিচারক মো. মোতাহার হোসেনের তার নিজ নামে ও স্ত্রী তাসলিমা বেগম ওরফে আরজুমান্দ আরার (মৃত) নামে অর্জিত জমি বা স্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ৯.৩২৯৯ একর বা ৯৩৪ শতক। যার দালিলিক মূল্য ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। স্থাবর সম্পদ ছাড়া মো. মোতাহার হোসেনের নিজ নামে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ৭৬১ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে।

দুদকের অনুসন্ধানে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৫ টাকা সম্পদসহ মোট ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে সাবেক এই বিচারকের। যার বিপরীতে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পদের উৎসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

আসামি মোতাহার হোসেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন পূর্বক তা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় কমিশন থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এপ্রেক্ষিতে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ঢাকা-১ এ মামলা রুজু করা হয়।

পেছনের ঘটনা

‘অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার’-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন।

পাশাপাশি তার বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে সময় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মোতাহার।

রায় নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বরে অবসরে যান তিনি। এরপর ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি গোপনে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন ওই বিচারক।

অবসরে যাওয়ার আগে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তারেক রহমানের মামলার রায় দেওয়া হয়েছে মর্মে বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে দুদকের কাছে। অভিযোগের পর প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।