সীতাকুণ্ডে অগ্নি দুর্ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও হতাহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

সীতাকুণ্ডে অগ্নি দুর্ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও হতাহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে পুড়ে ৪৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সিসিবি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ রিট পিটিশন দায়ের করেছে। রিটের পক্ষের আইনজীবীরা হলেন- ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব, অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রিটে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, বিচার বিভাগীয় তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএম কনটেইনার বিডি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।  

এর আগে জনস্বার্থে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর থেকে মৃতের খবর আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ অগ্নি দুর্ঘটনায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অনেকে।