লক্ষ্মীপুরে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

লক্ষ্মীপুরে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

অপরাধমূলক প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গ করে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় লক্ষ্মীপুর জেলার চর রমনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

লক্ষ্মীপুর সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আরেফিন গত ৪ জুলাই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির হাওলাদার। অপরদিকে বাদী পক্ষে আসামির জামিনের বিরোধীতা করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান রনি ও অ্যাডভোকেট এম এ জেড ফরিদ উদ্দিন।

আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতে জামিন মঞ্জুরের পক্ষে এবং জামিন নামঞ্জুরের জন্য যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সন্তুষ্ট চিত্তে আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর ইউনুস হাওলাদার রূপম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর-লক্ষ্মীপুর আদালতে আসামির বিরুদ্ধে সি.আর ৯২৭/২০ এ চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও বাবুল মিয়াকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণের পর সন্তুষ্টি হয়ে আসামির বিরুদ্ধে সামনের আদেশ প্রদান করেন।

আসামিরা সমন পেয়ে আদালতে হাজির হয়ে আপোষ করার শর্তে জামিন আবেদন করেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করেন। কিন্তু জামিনে গিয়ে আসামিরা মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে বাদীর সাথে দীর্ঘ প্রায় দুই বছরেও আপোষ করেননি। এ কারণে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, মামলার বাদী ও আসামি পরস্পর সুসম্পর্কযুক্ত বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার। সেই সুবাদে মামলার আসামি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও বাবুল মিয়াকে চট্টগ্রাম হতে মজুদ চৌধুরীর হাট হতে ইলিশা ঘাটের জংশন ফেরিঘাট এর ইজারা বাবদ অংশীদারি ব্যবসা হিসাবে ব্যাংকের মাধ্যমে ও নগদে আসামিদেরকে ৩৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু আসামিরা টাকা পাওয়ার পর বাদীর সাথে অপরাধমূলক প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গ করে টাকা আত্মসাৎ করেন।