প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য কোনো দল বা ব্যক্তি কে কার নাম সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করেছেন, সে তথ্যাদি না দেওয়া সংক্রান্ত তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভুঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এর আগে গত জুন মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কোনো রাজনৈতিক দল কোন ব্যক্তির নাম সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করেছিল, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ চার ব্যক্তি এ রিট দায়ের করেন। রিটে তথ্য কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে সার্চ কমিটিতে আসা ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। তবে প্রস্তাবকারীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পরে সেই নামগুলো থেকে ইসি গঠন করা হয়।