স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী

স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে গেলেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী

দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্য সেবা পরিদর্শন করেছেন এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

এসময় গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সকল উপজেলা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রিট মামলার অন্যান্য আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে আলোচনা শেষে আইসিইউ/সিসিইউ পর্যবেক্ষণে যান পরিদর্শন দল।

এর আগে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবরেটরিরে বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষার ফি, সেবার মূল্যতালিকা এবং চিকিৎসার ফি প্রকাশ্য স্থানে টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেছিলেন আদালত। পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।

এই আদেশ ছাড়াও দেশের সকল জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা ও ফি-র মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন লাইসেন্স দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।