স্কুলে থাকতে নিয়ম-নিষেধের বেড়াজালে মনে হত বাইরের জীবনটাই ভাল। কিন্তু স্কুল ছাড়ার পরে বুঝি স্কুলের সেই সময়টাই সবচেয়ে সুখের ছিল। যেন থেকে না বেরোলেই ভাল ছিল।
ভারতের শিলংয়ের লাবান বঙ্গ বালক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলে থাকতে ভাবতাম বাইরের জীবনে কত আনন্দ। শাসন-নিষেধ নেই। কলেজে গিয়ে ভাবতাম স্কুলই ভাল। পরে কর্মজীবনে প্রবেশ করার পরে বয়স যত বাড়তে থাকে, বুঝতে পারি স্কুল ও কলেজের সময়টাই জীবনই সবচেয়ে আনন্দকাল। সেখান থেকে না বেরোলেই ভাল ছিল।”
তাঁর মতে, স্কুল তৈরি হয় ধৈর্য, সচেতনতা, মূল্যবোধ ও সহিষ্ণুতাকে ভিত্তি করে। মানুষের, সমাজের ও দেশের ভিত গড়ে দেয় স্কুল। তাই পরবর্তী জীবনে খ্যাতনামা, প্রথিতযশা হলেও স্কুলের কাছে সকলেই ঋণী থাকেন।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, “মানুষ গড়ার কারিগর স্কুলের শিক্ষকদের বেতন খুবই কম, পেনশন নেই, নেই আর্থিক নিরাপত্তাও। তাই সকলেরই উচিত সাধ্যমতো নিজের স্কুলের জন্য অবদান রাখা।”