মানুষ বিচার নিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরলে আস্থা বাড়বে। এজন্য সুপ্রিম কোর্ট সারা দেশের মামলার অবস্থা পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। একইসঙ্গে বিচার প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের সুফল দিতে চান।
সারা দেশের অধস্তন আদালতের মামলা জট কমাতে সুপ্রিম কোর্টের গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) যশোরের বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিচার বিভাগ যশোরের আয়োজনে জেলা জজের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম।
সভায় বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পুরাতন মামলাগুলো যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয় তাহলে বিচারপ্রার্থীদের কাছে আইনের আস্থা আরও দৃঢ় হবে। বছরের পর বছর আর বিচারপ্রার্থীদের আর অপেক্ষা করতে হবে না। আরও বেশি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করা যাবে। ১০ বছরের পুরনো মামলা থেকে প্রতি ৩ মাসে অন্তত ৫টি করে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মামলা জট কেবল অধস্তন আদালতে নয়, উচ্চ আদালতেও রয়েছে। সেখানেও জট কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন স্টে থাকা মামলাগুলোর তালিকা করে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে অধস্তন আদালতের বিচারে গতি আসে।
অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন, স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ সামসুল হক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির, ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহম্মেদসহ জজশিপ ও ম্যাজেস্ট্রিসির বিচারকরা এবং জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়ার জজ বলেন, যশোরের আদালতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিচারকরা সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলে এখন বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত সেবা পাচ্ছেন।
সভায় জেলা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মামলা জট কমাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মতে কাজ করার প্রত্যয় জানান।
এ সময় জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যশোর জেলায় ১ লাখ ৮ হাজার ৭৯০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৬ হাজার ৪০৬টি মামলা এবং বিচারাধীন রয়েছে ৮২ হাজার ৩৪৩টি মামলা।