দুর্নীতির দায়ে সেটেলমেন্ট অফিসার ও সার্ভেয়ারের কারাদণ্ড
মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা।

৭৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ : পিপলস লিজিংয়ের সব আসামি খালাস

জালিয়াতির মাধ্যমে ৭৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসিফুজ্জামান এ রায় দেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন – পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কবির মোস্তাক আহমেদ, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মুকুট সুবল ও সোলায়মান রুবেল।

সংশ্লিষ্ট আদালতে বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পিপলস লিজিংয়ের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কবির মোস্তাক আহমেদ, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মুকুট সুবল ও সোলায়মান রুবেলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে মামলা করে দুদক।

মামলায় লিজ লোন এবং শেয়ার লোনে অনৈতিকভাবে ৭৩ কোটি টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে দুদক অভিযোগপত্রে ড. কবির মোস্তাক আহমেদ, মুকুট সুবল ও সোলায়মান রুবেলের নাম রাখা হয়।

মামলার পরপরই রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ড. কবির মোস্তাক আহমেদ হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পাসপোর্ট জমার শর্তে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন হাইকোর্ট বহাল রাখেন।

এ মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ শুধুমাত্র পিপলস লিজিংয়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে, ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো সাক্ষী উপস্থিত করতে পারেনি। তাই সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব এবং রাষ্ট্রপক্ষ তাদের অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় দুর্নীতি হয়নি মর্মে বিচারিক আদালত সবাইকে খালাস দেন।

এদিকে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আপিল করা হবে বলে জানিয়েন দুদক আইনজীবী।