অবকাশ শেষে খুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উভয় বিভাগের (হাইকোর্ট ও আপিল) নিয়মিত বিচারকাজ শুরু হয়েছে। তবে শুধুমাত্র আজকের দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ চলবে আধাবেলা। আগামীকাল থেকে প্রচলিত নিয়মেই বিচারিক কার্যক্রম চলবে।
আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে আপিল বিভাগের ৩টি বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কজলিস্ট অনুযায়ী, কোর্ট নং-১ এ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। এ বেঞ্চের অন্য ২ সদস্য হলেন- বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
কোর্ট নং-২ তে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী। আর আপিল বিভাগের ২ নং কোর্টে রয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
এদিকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ১০টায়।
আজ কোর্ট চলবে আধা বেলা
প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল ও হাইকোর্ট) বিচারিক কার্যক্রম বিচারকাজ অর্ধদিবস বন্ধ রাখা হবে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজার সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ ঘোষণা দেন।
প্রধান বিচারপতির ঘোষণার প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সর্বোচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চারবারের নির্বাচিত সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন গতকাল শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
মরহুম সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে সোমবার (২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সকাল ১১টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলবে এবং এরপর বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে গতকাল ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে অবকাশে বিচারকাজ পরিচালনায় অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।