সিরাজগঞ্জ সহকারী জজ আদালতের (কামারখন্দ) সেরেস্তায় দেওয়ানি মামলার বেশ কিছু নথি চুরির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন হাইকোর্টের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী রেজিস্ট্রার রাশেদুর রহমান শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালতে এসে নথি চুরি হওয়া সেরেস্তা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরসহ বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আদালতের সেরেস্তা কক্ষ থেকে নথি চুরি যাওয়ার ঘটনা তদন্তে গত ৪ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান, হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার রাশেদুল রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির।
সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কমিটির সদস্যরা শুক্রবার থেকে তদন্ত শুরু করেছেন। তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের তদন্তের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টের সহকারী জজ আদালতের (কামারখন্দ) সেরেস্তা রুম খুলে কর্মচারীরা দেখতে পায় মেঝেতে এলোমেলো ভাবে পরে আছে মামলার নথি। এছাড়া আলমারিতে রাখা মামলার নথিগুলো নেই এবং রুমের জানালার লোহার পাতি ভাঙা রয়েছে। এ ঘটনায় জেলা জজকোর্টের নাজির ওসমান গণি বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগেও গত বছরের ২০, ২১ মার্চ পর পর দুই রাতে সিরাজগঞ্জ পুরাতন কালেক্টরেট ভবনে ভিপি (ভেস্টেট প্রোপার্টি-অর্পিত সম্পত্তি) কৌঁসুলিদের কক্ষের তালা ভেঙে কয়েকটি আলমারিতে রাখা অন্তত ৬০০ মামলার কোর্ট ফাইল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর ২২ মার্চ দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবারও চুরির চেষ্টা করা হয়।