দেশের বিভিন্ন আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনজীবী সমিতি’ (জেএনইউএলএ) -এর ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা মোতাবেক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিতদের নিয়ে আগামী ১ বছরের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের প্লাটিনাম লাউঞ্জে গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন হাবিবুর রহমান, আর সদস্য হিসেবে ছিলেন এস. এম. সোহাগ, মো. শামসুর রহমান ও মো. সাজ্জাদ হোসেন।
কমিটিতে অ্যাডভোকেট রাশেদুল হককে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট মো. হাবিবুল্লাহ হাবীবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তাঁরা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কমিটির অন্যান্য পদে যারা রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস এমি ও মো. ফরহাদ হাফিজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শমসের মবিন তিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মুজাহিদ, আব্দুল বাসিত রনি, ইখলাসুর রহমান মামুন ও কাওসার আহমেদ আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু শিকদার, হেলাল উদ্দিন ও নুরুল্লাহ সিদ্দিকী নিলয়, দপ্তর সম্পাদক মো. ওবাইদুল্যাহ আল মামুন (সাকিব), প্রচার সম্পাদক মো. আলী আকবর হোসেন (আকাশ), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী আশরাফ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এম. এ. লতিফ, উপ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সালেহীন মোল্লা, নারী বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া আফরিন, উপ-নারী বিষয়ক সম্পাদক তাফান্নুম বিনতে কিবরিয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ হসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. জামাল রহমান এবং লাইব্রেরী বিষয়ক সম্পাদক আবু নোমান আরিফ।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী, আইন শিক্ষা, আইন পেশার উন্নয়ন, পরিকল্পনা, গবেষণা ও আইনজীবীদের কল্যাণমুখী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে এই সমিতি।
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে (স্নাতক) উত্তীর্ণ আইন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা; সংগঠনের সদস্যদের পেশার মান উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখা; সদস্যদের উত্তরোত্তর পেশাগত উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখা; যেকোনো দুর্যোগ, মহামারী, বিপর্যয় ও সংকটে সংগঠনের সদস্যদের সাহায্যে এগিয়ে আসা; সময়ে সময়ে ডিরেক্ট্ররী প্রকাশ করা; আইন বিষয়ক সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করে আইনজীবীদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধি করা তথা আইন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইন বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধি করা; আইনের শাসন বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন আইন সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করার জন্য যুক্তি উপস্থাপন পূর্বক জনমত সৃষ্টি করা; সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ুয়া অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি চালু করা; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুনগত ও বাস্তবধর্মী প্রায়োগিক শিক্ষা পদ্ধতি ও কর্ম কৌশল গ্রহণে সহায়তা করা ইত্যাদি।