ব্যাংকের কোটি টাকা শোধে মোস্তফা গ্রুপের পরিচালকদের জামিন
চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত (ছবি: সংগৃহীত)

২০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ

২০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে চট্টগ্রামের মেসার্স ইছা অ্যান্ড মুছা ব্রাদার্সের কর্ণধার ইছা বাদশা ওরফে মহসিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান মঙ্গলবার (৯ মে) এই আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ওয়ান ব্যাংকের জুবিলি রোড শাখা থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেননি ব্যবসায়ী ইছা বাদশা। যার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা।

রেজাউল করিম বলেন, আদালত জানতে পারেন তিনি বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীকে কানাডা থেকে দেশে নিয়ে আসার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, ইছা বাদশার বিরুদ্ধে এই আদালতে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মামলা রয়েছে। এসব মামলায় ঋণখেলাপির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি।

এসব ব্যাংকের মামলায় ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য কখনো হাজির হননি। দেননি ওকালতনামাও। ব্যাংকের হলফনামাযুক্ত আবেদনে দেখা যায় ব্যবসায়ী ইছা বাদশা দেশত্যাগ করে বর্তমানে কানাডা বসবাস করছেন।

বাংলাদেশ ত্যাগ করায় তাঁর বিরুদ্ধে ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে তামিল করা সম্ভব হবে না। খেলাপি ঋণ আদায়ের বিশেষ উদ্দেশ্যে অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা হয়। নাগরিকদের আমানতের অর্থ পাচারকারী এই শীর্ষ ঋণখেলাপিকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে এনে জনগণের অর্থ আদায় সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আদেশে আরও বলা হয়, অর্থ পাচারকারী ঋণখেলাপিরা বিদেশে পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম সফল হচ্ছে না। এসব মামলার পেছনে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যার কারণে মামলাজট বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই অবস্থায় খেলাপি ঋণ আদায়ে বিচারিক কার্যক্রম সফল করার জন্য বিদেশে বসবাসকারী ঋণখেলাপিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।