ফেনীতে পরিচয় গোপন করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার পিপলু মজুমদারের আইনজীবী সনদ ও সদস্যপদ স্থগিত করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। একই সঙ্গে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল বশর চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সমিতির কার্যকরী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পিপলু মজুমদারের আইনজীবী সনদ স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পিপলু ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার স্বর্ণলতা ভবনের অমর বিন্দু মজুমদার ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেত্রী সন্ধ্যা রানী দত্ত দম্পতির ছেলে। তিনি মাস্টারপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে কারাগারে আইনজীবী
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, তাঁর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। সম্প্রতি ওই নারীর সঙ্গে পিপলুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় তিনি নিজেকে মুসলিম পরিচয় দেন ও ব্যাংকে চাকরি করেন বলে জানান।
গত ৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ডেকে নিয়ে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাসায় ওঠেন অভিযুক্ত আইনজীবী। সেখানে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
পরে ওই গৃহবধূ জানতে পারেন, পিপলু হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং পেশায় আইনজীবী। এরপরও তিনি বিয়েতে রাজি ছিলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ওই বাসায় ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পিপলু।
পরে পিপলুর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর পরিবার ও ফেনী মডেল থানাকে জানালে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফেনী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ আইনজীবী পিপলুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেলাল হোসেন জানান, অভিযুক্ত আইনজীবীর সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।