৯৭ সহকারী জজ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
বিচারক (প্রতীকী ছবি)

১০৩ সহকারী জজের যোগদান চলতি মাসেই

প্রায় আট মাস ঝুলে থাকার পর অবশেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ১০৩ জন সহকারী জজের। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) অধীন সহকারী জজ নিয়োগের পঞ্চদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত ১০৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করা হচ্ছে।

এরপর চলতি মাসের মধ্যেই তারা যোগদান করতে পারবেন বলে জানা গেছে। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, পঞ্চদশ বিজেএসের মাধ্যমে সহকারী জজ নিয়োগের জন্য গত বছরের ১২ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন গত বছরই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা নেয়। গত ১৯ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়।

মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১০৩ জন প্রার্থীকে সহকারী জজ পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। তিন ধাপে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশ পাওয়ার পর গেজেট না হওয়ার কারণে এতদিন চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না সুপারিশপ্রাপ্তরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের পঞ্চদশ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১০৩ জনকে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের নিয়োগ ও পদায়ন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে। চলতি মাসেই সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ১০৩ জন যোগদান করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন আইন সচিব।

জানা গেছে, সহকারী জজ নিয়োগের সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন। বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর ২০০৭ সালে এই কমিশন গঠিত হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ বিজেএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মাত্র দুই থেকে চার মাসের মধ্যে যাচাই প্রতিবেদন শেষ হয়েছিল। এই দুবারে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছিল কম।

কিন্তু এরপর থেকে প্রতিটি বিজেএসের নিয়োগ শেষ করতে ক্রমেই সময় বাড়ছে। মূলত পুলিশি যাচাই প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রক্রিয়াতেই সময় লাগছে বেশি। ফলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরে দীর্ঘ সময়েও চাকরিতে যোগ দিতে পারেন না সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন, নিম্ন আদালতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা বলছেন, নিম্ন আদালতে মামলাজট তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ নতুন বিচারক নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতা। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত চাকরিতে যোগ দিতে পারলে এ জট কমত।

জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সূত্র জানায়, যারা পঞ্চদশ বিজেএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল তাদের মৌখিক পরীক্ষা হয়েছে, নিয়োগের জন্য সুপারিশও করা হয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনে কিছুটা সময় লেগে গেছে।

কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জানুয়ারিতে ফলাফল প্রকাশের পরই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে যাচাই করেছে, তথ্য সংগ্রহ করেছে। এরপর প্রায় আট মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এতে সামাজিক বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের।