আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ব্ল্যাকমেইল করে বছরের পর বছর প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ফারুকের (৫৪) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) নালিসি মামলাটি করেন ভুক্তভোগী এক সন্তানের জননী।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর আইনজীবী আফজালুল করিম জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ফারুক বরিশাল নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এ আর খান সড়কের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত।
মামলার বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকেন। স্বামীর বন্ধু এসআই ফারুককে নগরীর এ আর খান সড়কে ৯ শতাংশ জমি কিনতে ৪৫ লাখ টাকা দেন প্রবাসীর স্ত্রী। কিন্তু জমির দলিল না দিয়ে টালবাহানা করার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় ঐ নারীকে কুপ্রস্তাব দেন ফারুক।
হুমায়ন কবির আরও বলেন, ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারী নগরীর এ আর খান সড়কে তার ভাইয়ের নির্মাণাধীন ভবনে যান। তখন এসআই ফারুক সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ছাড়া অন্তরঙ্গ আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন ফারুক। সেই ভিডিও স্বামী ও স্বজনদের কাছে পাঠানো ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ঐ নারীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনারের (প্রোটেকশন বিভাগ) কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে নালিসি মামলা করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।