যে আদালতে মাথা নত করে কুর্নিশ ও হাত জোড় করে দাঁড়াতে মানা
মুন্সিগঞ্জ-আদালত

দেড় লক্ষ টাকা পরিশোধের শর্তে জামিন

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানা আমলী আদালত একটি মামলায় কারাগারে থাকা দুই জন আসামীকে অভিযোগকারীর নিকট দেড় লক্ষ টাকা পরিশোধের শর্তে জামিনে মুক্তি প্রদানের আদেশ দেন।

শ্রীনগর থানা আমলী আদালতের সি.আর. ৮৭/২০২৩ নং মামলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) এই আদেশ দেন।

এর আগে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে হাজতে থাকা আসামী দুলাল খান এর পক্ষে তার নিযুক্ত এডভোকেট জামিনে মুক্তির আবেদন করলে আদালত আসামীপক্ষের বক্তব্য ও অভিযোগকারীপক্ষের বক্তব্য শোনেন।

আদালত শুনানীর এক পর্যায়ে আসামীর বক্তব্য শোনেন এবং আসামী উক্ত শুনানীতে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও অভিযোগকারীর ছেলেকে দুবাই নিবেন বলে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং পরে দুবাই নিতে ও টাকা ফেরত দিতে পারেননি মর্মে স্বীকার করেন।

আদালতসূত্রে জানা যায়, ফৌজদারি মামলায় প্রতিকার হিসেবে আসামীর শাস্তি হলেও অভিযোগকারী বা ভিকটিমের পক্ষে ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু পাওয়ার সুযোগ না থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই আদালত আসামীকে শুনানীর সুযোগ দিয়ে পুরো বা আংশিক যে পরিমাণ অর্থই আসামী স্বীকার করুক তা জামিনের শর্তে উল্লেখ করে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বেই অভিযোগকারী বা ভিকটিমকে কিছুটা প্রতিকার প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।

বিশেষ করে পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারার মামলার ক্ষেত্রে এই আদালত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এ ধরণের আদেশ প্রদান করেন যাতে অভিযোগকারী বা ভিকটিম তাৎক্ষণিক কিছুটা প্রতিকার পায়।

আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আদালতের এই আদেশকে আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রতিকার পাওয়ার আশার ক্ষেত্রে আস্থার জায়গা সৃষ্টি করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।