নওগাঁয় যৌনপীড়নের মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী পক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল—২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ চৌধুরীর মেয়ে শারমিন চৌধুরী (৩৪) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল তার সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে যৌনপীড়নসহ মারপিট পূর্বক সাধারণ জখম ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ কর্তৃক তদন্ত শেষে যৌনপীড়নের ঘটনার সত্যতা না থাকায় ওমর ফারুক ও আরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে মারপিট পূর্বক সাধারণ জখম ও হুমকি দেয়ার অভিযোগের সত্যতা থাকায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শারমিন চৌধুরী উক্ত পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করলে শুনানি শেষে তা মঞ্জুর পূর্বক পূনরায় মামলাটির ঘটনা বিষয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পি.বি.আই), নওগাঁকে নির্দেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল—২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।
পি.বি.আই পুলিশ কর্তৃক তদন্ত শেষে যৌনপীড়নের ঘটনার সত্যতা না থাকায় ওমর ফারুক ও আরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে মারপিট পূর্বক সাধারণ জখম ও হুমকি দেয়ার অভিযোগের সত্যতা থাকায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর শারমিন চৌধুরী উপস্থিত থেকে কোন আপত্তি না করায় ওমর ফারুক ও আরাম হোসেনকে যৌনপীড়নের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল—২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।
শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে আজ যৌনপীড়নের দাবী করা নারী শারীমিন চৌধুরীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭/৩০ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন ভুক্তভোগী ওমর ফারুক (৪২)।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা যৌনপীড়নের মামলা দায়ের করা উক্ত নারীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী আসামীদ্বয় গ্রেফতার পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।