তথ্য গোপন করে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করায় চার বছর আগে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার এক ভূমি কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ শুনানি শেষে বুধবার (১০ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন।
আসামির নাম নুরুল আলম সিদ্দিকী। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কোকদণ্ডী ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর ভূমি কর্মকর্তা নুরুল আলম সিদ্দিকী নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন না দিয়ে জামিন শুনানির জন্য রুল জারি করেন।
‘তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদনের বিষয়টি গোপন করে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অবকাশকালীন (২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর) জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তিনি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।’
দুদকের আইনজীবী আরও বলেন, সপ্তাহখানেক আগে হাইকোর্ট থেকে নথি আসে, ভূমি কর্মকর্তার জামিনের আবেদনটি বাতিল (ডিসচার্জ) করেছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিষয়টি জানার পর গত সোমবার ভূমি কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়ত চান বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত।
বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জানান, তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে বিরোধ থাকায় তাঁর নামে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়েছে নিম্ন আদালতের তথ্য গোপন করে। কিন্তু বিষয়টি আদালতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় এবং আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করায় জামিন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর বাঁশখালীতে ঘুষের ৪৫ হাজার ৫২০ টাকাসহ নুরুল আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে দুদকে চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম। পরে এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে তিনি অভিযোগপত্র দেন নুরুল আলম সিদ্দিকীকে আসামি করে। বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে।