ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাসিন্দা জয়পুরহাটের এসপি মো. নুরে আলম ও তার সহোদর ঢাকা মেট্রোপলিটনে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা সারে আলমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান শেষে আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত শেষে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খুরশেদ আলম দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিশদ বিবরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে একটি আবেদন করেন।
কিন্তু দুদক এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কালক্ষেপণ করে ও ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়নি। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে আবেদনকারী খুরশেদ আলম হাইকোর্টে রিট করেন।
উল্লেখ্য, পুলিশ কর্মকর্তা নূরে আলম ও ওসি সারে আলম আপন দুই ভাই।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ আগস্ট এক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবার অর্থ-বিত্ত তেমন না থাকলেও দুই ভাই পুলিশের চাকরি পাবার পরই বিদ্যুৎগতিতে বাড়তে থাকে তাদের অর্থ-সম্পত্তি। কম করে হলেও দেড় শ’ কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারা।
এসপি নুরে আলম ও তার ভাই সারে আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়-সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণসমৃদ্ধ অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিকবার জমা পড়েছে। অভিযোগগুলো শতভাগ দুদকের তফসিলভুক্ত হলেও রহস্যজনক কারণে মামলা হয়নি একটিও।