এক দিনেই ১১ নারী আইনজীবী ‘সিনিয়র আইনজীবী’ হিসাবে মর্যাদা পেলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। ফলে তৈরি হল ইতিহাস। কারণ দেশটির গত ৭৫ বছরে ওই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১২।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে মোট ৫৬ জন আইনজীবী সিনিয়র আইনজীবীর স্বীকৃতি পান। সুপ্রিম কোর্টের ‘ফুল কোর্ট মিটিং’-এ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র আইনজীবীর স্বীকৃতি পাওয়া ৫৬ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন নারী আইনজীবী।
তাঁরা হলেন- আইনজীবী শোভা গুপ্ত, আইনজীবী স্বরূপমা চতুর্বেদী, আইনজীবী লিজ় ম্যাথু, আইনজীবী করুণা নন্দী, আইনজীবী উত্তরা বব্বর, আইনজীবী হরিপ্রিয়া পদ্মনভন, আইনজীবী অর্চনা পাঠক দাভে, আইনজীবী শিরিন খাজুরিয়া, আইনজীবী এনএস নিপ্পিনাই, আইনজীবী এস জননি এবং আইনজীবী নিশা বাগচী।
১১ নারী আইনজীবীকে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীর মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ঐশ্বর্য ভাটি। তিনি বলেন, ‘‘এটা সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। মহিলা আইনজীবীদের যোগ্যতাকে সম্মান দিয়ে এই স্বীকৃতি আসলে লিঙ্গ সমতার প্রতি সুবিচার।’’
এ পর্যন্ত মোট ১৪ জন মহিলা আইনজীবী সিনিয়র আইজীবীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে ছিলেন দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও। সুপ্রিম কোর্ট প্রথম যে মহিলা আইনজীবীকে সিনিয়র আইনজীবীর মর্যাদা পান, তাঁর নাম আইনজীবী ইন্দু মালহোত্র। পরে তিনি বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের ৫৭ বছরের ইতিহাসে বিচারপতি মালহোত্র ওই ‘মর্যাদা’ পান ২০০৭ সালে।
২০১৩ সালে আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা, আইনজীবী কিরণ সুরি, আইনজীবী বিভা দত্ত মুখোপাধ্যায় ওই মর্যাদা পাওয়ার পর সংখ্যাটা দাঁড়ায় চারে।
২০১৫ সালে আইনজীবী ভি মোহনা এবং আইনজীবী মহালক্ষ্মী পবনীর মাধ্যমে ওই সংখ্যা হয় ছয়। অবসরগ্রহণের পরে অবশ্য দুই মহিলা বিচারপতি সিনিয়র আইনজীবীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।
তার পর ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক সঙ্গে ছয় মহিলা আইনজীবীকে সিনিয়র আইনজীবীর স্বীকৃতি পান।