গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক সংগঠন করার ক্ষেত্রে ১০ ভাগ শ্রমিকের সম্মতির বিধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে আগের চেয়ে কমিয়ে নতুন শ্রম আইনে ১৫ ভাগ শ্রমিকের সম্মতির বিধান যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মার্কিন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ বে ও লেবার অ্যাটাচে লীনা খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে আনিসুল হক এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন শ্রম আইনে কোন গার্মেন্টস বা শিল্প কারখানায় ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক থাকলে সেখানে সংগঠন করতে হলে শতকরা ১৫ ভাগ শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১০ ভাগ বললেও এ ক্ষেত্রে সরকার ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নিবে। কারখানা মালিকদের সম্মতিরও প্রয়োজন রয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার শ্রম অধিকার নিয়ে সচেতন রয়েছে। শ্রম অধিকার গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন। শ্রম আইন নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল কোনো আপত্তি জানায়নি।
গত নভেম্বর নতুন শ্রম আইন সংসদে পাশ হলেও ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপতির ফেরত পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
বৈঠকে ড. ইউনুস ও ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।