যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দুটি ট্রাইব্যুনাল চালুসহ চারটি বিষয় বাস্তবায়নের আবেদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আবেদনে বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় গণহত্যাকারী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীর বিচার করলেও এখন পর্যন্ত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী সংগঠনসমূহ এবং ৭১-এ পাকিস্তানি হাইকমান্ডের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
চার দাবির মধ্যে রয়েছে
১) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা কর্তৃক স্থগিত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া।
২) আপিলের জটিলতা নিরসনের জন্য আপিল বিভাগে আরও বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি অপেক্ষমাণ মামলাগুলো দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা।
৩) কম্বোডিয়া ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালে গিয়ে আপিল শুনানি নিষ্পত্তি করেন। বাংলাদেশের মতো কোথাও এসব ট্রাইব্যুনালের মামলার আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কম্বোডিয়ার মতো আপিলের ব্যবস্থা করা। যাতে ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়।
৪) পুরনো হাইকোর্ট ভবনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এই বিচার কার্যক্রমের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আবেদন করা হয়েছিল মামলার সকল কার্যবিবরণী ও দলিলপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার জন্য। যাতে করে বিচারকার্য শেষ হওয়ার পর নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের প্যালেস অব জাস্টিসের মতো আমাদের ট্রাইব্যুনালের বর্তমান ভবনটি জাদুঘর ও আর্কাইভে রূপান্তরিত করা যায়। এর ফলে আগামী প্রজন্ম এবং বিশ্ববাসী ৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতার পাশাপাশি জানতে পারবে কী ধরনের প্রতিকূলতার ভেতর ৪০-৫০ বছর পরও সাফল্যের সঙ্গে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধি দল জানান, আমরা আশা করবো মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ পরিবার এবং বিচারপ্রত্যাশী গোটা জাতির স্বার্থে আমাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে।