পুলিশ (প্রতীকী ছবি)
পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে

এম. নাদিম হোসেন খান নাঈম: নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ইমন (২৮) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংদী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

ইমন (২৮) কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত এবং রায়পুরা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের মাহে আলমের ছেলে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়িতে রোববার রাত ১টার দিকে ওই পুলিশ সদস্য ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী এতে আপত্তি জানায় এবং বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এসময় তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। সোমবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে ওই পুলিশ সদস্য। প্রায় ১৮ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে একাধিকার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে বেড়ানোর কথা বলে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে বিয়ের প্রলোভনে শারিরিক সম্পর্ক করা হয়।

১১ ফেব্রুয়ারী রোববার রাত ১২.০০ ঘটিকায় ওই তরুণীর বাসায় এসে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির সময় ঐ তরুনীর লোকজন ইমনকে আটক করে রায়পুরা থানায় খবর দিলে রায়পুরা থানার পুলিশ এসে ইমনকে থানায় নিয়া যায়।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারী রোববার রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ী থেকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ইমনকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। সোমবার আমলী আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ করে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।