মিথ্যা যৌতুক মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রুপা আক্তার নামে এক নারীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (১২ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত এই আদেশ দেন। শুনানির সময় রুপা আক্তার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল এই মামলায় আসামি পুলিশ কনস্টেবল সাগর মিয়াকে খালাস দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার বাদী রুপা আক্তারকে শোকজ করা হয়। কেন তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৫০ ধারায় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা ১২ মে’র মধ্যে জমা দিতে বলা হয়।
রুপা আক্তার নির্ধারিত সময়ে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিলেও তা আদালতের কাছে সন্তোষজনক প্রমাণিত হয়নি। ফলে আদালত তাকে দণ্ডবিধির ২৫০ ধারায় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে শাস্তি এড়ান।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৯ জুলাই চার লাখ টাকা দেনমোহরে পুলিশ কনস্টেবল সাগর মিয়ার সঙ্গে রুপা আক্তারের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর রুপাকে শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হয়নি। রুপার পরিবারের পক্ষ থেকে সাগরকে সোনার চেইন ও আংটি দেওয়া হলেও পরে তিনি ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন রুপা। এ ছাড়া, যৌতুক না দেওয়ায় রুপার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় বলে মামলায় দাবি করা হয়।
কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ায় অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সাগর মিয়াকে খালাস দেন এবং বাদী রুপার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।