মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : ১৯ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় এক পাচারকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা সোমবার (২৬ মে) এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামী হলো : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গ্রামের আহমদ হোসেনের পুত্র ছৈয়দুল হক (৫২)।
রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন এবং আসামীর পক্ষে লিগ্যাল এইড কমিটি নিয়োজিত অ্যাডভোকেট হরি সাধন পাল মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০২২ সালের ২৬ আগস্ট বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামু মরিচ্যাপালং যৌথ চেক পোস্টে ৩০ বিজিবি’র একটি টিম একটি মিনি ট্রাক আটক করে। পরে চালক ছৈয়দুল হকের দেখানো মতে মিনি ট্রাকটি তল্লাশী করে ১৯ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ৩০ বিজিবি’র নায়েব সুবেদার মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মিনি ট্রাকের চালক ছৈয়দুল হককে আসামী করে রামু থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার রামু থানা মামলা নম্বর : ৪৩, তারিখ : ২৬/০৮/২০২২ ইংরেজি, যার জিআর মামলা নম্বর : ৪৬৪/২০২২ ইংরেজি (রামু) এবং এসটি মামলা নম্বর : ৬৬৮/২০২৩ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি বিচারের জন্য ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানার আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা, আসামীর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ধার্য্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ) ধারায় মামলার একমাত্র আসামী ছৈয়দুল হককে দোষী সাব্যস্থ করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।