কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৭ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে ওইদিন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (৩১ মার্চ) চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, গত ৬ মার্চ এ মামলায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ৬ মাসের জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলো। আজ হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশ ৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে ওইদিন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।
এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ৫ মার্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয় এবং ৬ মার্চ জামিন দেন আদালত।
বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আইকন পরিবহনের ওই বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো।
ওই আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান।
এর পরদিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) নূরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেন।