দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার সংরক্ষণে জনস্বার্থের মামলা (রিট) একটি বড় হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে ‘স্ট্যান্ডিং ইন পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন: অন আউটলাইন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট অনলাইন বুলেটিন (এসসিওবি)।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৯৬ সালে ড. মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ মামলা দিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলার বিষয়ে বিচারিক ভূমিকার পরিধি বাড়ানোর যাত্রা শুরু করে।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষা, সুশাসন ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জনস্বার্থের মামলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া আইন ও নীতি নির্ধারণী কৌশল প্রণয়নসহ বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা ধরে রাখতে জনস্বার্থে মামলার গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, জনসাধারণের ভুল, জনস্বার্থে ক্ষত ও সাংবিধানিক বিতর্ক সমাধানে জনস্বার্থ মামলা সাধারণ মানুষের নাগালে একটি কার্যকর বাহন। সুবিধাবঞ্চিত জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থের মামলা এখন সহায়ক। মানবাধিকার বিষয়ক বিচার ব্যবস্থায় জনস্বার্থের মামলা দেশীয় মডেল হিসেবে বিচার বিভাগকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
‘এ পদ্ধতি অত্যন্ত প্রশংসিত। তবে পাবলিক তোষণ অবশ্যই বিচারকদের প্রভাবিত করবে না এবং ব্যক্তিগতভাবে অতিরঞ্জিত না হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে। জনস্বার্থ মামলায় জনগণের মঙ্গলের জন্য আইন ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের জাতির সার্বিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে হবে,’ যোগ করেন প্রধান বিচারপতি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদ। আর স্বাগত বক্তব্য দেন হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।