আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এখন আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই এই রায় কার্যকর করা হবে।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজের গুলশানের আবাসিক অফিস থেকে একটি ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি কারাগারে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্ন আমার কাছে এসেছে। আব্দুল মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত একজন আসামি। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে সলিটারি কনফাইনমেন্টে (পৃথক সেল) রাখা হয়। আব্দুল মাজেদ সলিটারি কনফাইনমেন্টে থাকবে। এ হিসেবে তিনি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করবেন না।
তিনি বলেন, আব্দুল মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর বিচারিক আদালত এবং আপিল আদালত তাকে ফাঁসির দণ্ড দেন।
কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদকে কারাগারে নিয়ে আসার পরপরই যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়। পরে তাকে কয়েদির ড্রেস পরিয়ে সরাসরি ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। সোমবার (০৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।