পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) শোকজ করেছেন ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত।
আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ এই আদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, জনৈক মোঃ আহছান আলী তার মালিকানাধীন কিছু সম্পত্তি ভুলক্রমে তার নামে রেকর্ড না হয়ে সরকারের নামে রেকর্ড হয়েছে মর্মে দাবি করে ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ডিক্রী পান। বিবাদী সরকার এর বিরুদ্ধে ছানি মামলা করে যা নামঞ্জুর হয়। সরকারপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যায়নি। বিধায়, আদালতের রায়ের আলোকে মামলার জমিতে বাদী মোঃ আহছান আলীর মালিকানা চূড়ান্ত বলে ঘোষিত হয়।
বাদী এই রায়ের আলোকে ঈশ্বরদী উপজেলা এসি (ল্যান্ড) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, এসি (ল্যান্ড) তার নামে জমি নামজারি করে না দেওয়ায় বাদী পুনরায় তার নামে নামজারি করে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদানের প্রার্থনা করে আদালতে একটি বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন। সরকার পক্ষে পাবনার ডিসি, এডিসি (রাজস্ব), ঈশরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসি (ল্যান্ড) এই মামলা সমন পেয়েও প্রতিদ্বন্দিতা করেননি। বাদীর উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমানের আলোকে এই মামলায় বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফাসূত্রে ডিক্রী হয়। আদালত ডিক্রির নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাদীর নামে জমি নামজারি করে দিতে এসি (ল্যান্ড)-কে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু, এই আদেশের পর প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট এসি (ল্যান্ড) বাদীর নামে নামজারি করে না দেওয়ায় বাদী এসি (ল্যান্ড) সহ অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার, সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় এবং ডিক্রী বাস্তবায়নের আদেশ প্রার্থনা করে একটি জারি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে এসি (ল্যান্ড) এর ব্যখ্যা তলব করেন এবং একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেমর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি আদালত ডিক্রির নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক করে এ বিষয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।