যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, যেহেতু পাপিয়া একজন একজন নারী সেহেতু অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে তাকে ২০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হইল। একই সঙ্গে ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হল। পৃথক দুই ধারার কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে আদালতের আদেশে উল্লেখ করেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আরিফুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। মামলায় ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অস্ত্র মামলা ছাড়া বাকি মামলাগুলো হলো শের-ই-বাংলা নগর থানার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা। এ মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।