দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

দুই বছরে ২১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করেছে দুদক

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের দুই হাজার ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) সংস্থাটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আদালত ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে এই পর্যন্ত ৬২০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। এই সম্পদ দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটে রেকর্ডভুক্ত আছে। এছাড়া অবরুদ্ধ আছে ১ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি মামলা শেষ হলে এসব সম্পদের মালিক যিনি অভিযুক্ত থাকেন তার পক্ষে যদি রায় হয় তাহলে এসবের মালিকানা ফিরে পান। তা না হলে এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

সব মিলিয়ে দুদকের শিডিউল ভুক্ত মামলায় ২১০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ অবরুদ্ধ ও ক্রোক করা হয়েছে বলে সচিব জানান।

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেন ও সম্পদের তথ্য গোপন করেন তারা সেই সম্পদ যাতে লুকাতে না পারেন সে জন্য ব্যবস্থা নেয় দুদক। সেই সম্পদ অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করতে আদালতের কাছে আবেদন করে দুদক।

তিনি বলেন, যখন কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় তখন দেখা হয় দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কত সম্পদ অর্জন করেছেন। সেটার সূত্র খুঁজতে গিয়েই তখন এই সম্পদের হিসাব-যাচাই করা হয়। যখন দেখা যায়, অবৈধ সম্পদ আসামি বিদেশে পাচার করতে পারেন, সম্পদের প্রভাব খাটিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন বা এই সম্পদের মিসইউজ করতে পারেন তখন আসলে আদালতে বাজেয়াপ্তের আবেদন করা হয়।

বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে যখন কারও সম্পদের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না, বিদেশে পাচার হয়েছে এই তথ্য পাওয়া যায়; তখন আদালতের আমাদের দেশের মাধ্যমে সেই দেশের আদালতকে জানানো হয়- যে আসামি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন। সেই ক্ষেত্রে বিদেশের আদালতের মাধ্যমে পাচার করা ওই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হয়।

সংস্থাটির সচিব আরও বলেন, শুধু দুর্নীতিবাজকে শাস্তি দেওয়া না, রাষ্ট্রের অর্থপাচার বন্ধ করা ও সেটা রিকভার করাও দুদকের দায়িত্ব।