তথ্য গোপন করে দেশের উচ্চ আদালতে পৃথক চারটি রিট আবেদন করায় বাদীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই রিট আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার (৩ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর ডাসা উপজেলা কমপ্লেক্স তৈরির কার্যক্রম নিয়ে তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতে পৃথক চারটি আবেদন করা হয়। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।
এর আগে, তথ্য গোপন করে একই ঘটনায় বাদী আরও তিনটি বেঞ্চে বিভিন্ন সময় রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি খারিজ করা হয়। তৃতীয়বার করা রিটের সেই তথ্য গোপন করে রিটের বাদী চতুর্থ আবেদন করেন।
এ বিষয়টি জানাজানি হলে আদালতের সময় নষ্ট করা এবং বারবার রিট করায় তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। ওই টাকা সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুর্টি কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। ওই দিন বিকেলে এ ঘোষণা আসার পর এলাকাবাসীর মধ্যে শুরু হয় উচ্ছ্বাস। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ডাসারে একটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থাপিত হয়। পরে কালকিনি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে ২০১৩ সালের ২ মার্চ ডাসার থানা গঠন করা হয়।
এর কিছুদিন পর থেকেই ডাসারকে উপজেলায় রূপান্তরের প্রস্তাব দেয় স্থানীয় প্রশাসন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২৬ জুলাই দুপুরে সচিবালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভা থেকে ডাসারকে উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা আসে।