সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ‘নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই’ চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের যে বিভ্রান্তিকর তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে, তার পেছনে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর দায় দেখছে আপিল বিভাগ।
আদালত মনে করছে, চার বছর আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ওই দুই আসামির নিয়মিত আপিলের সাথে জেল আপিলের সমন্বয় না হওয়ার দায়ও আইনজীবীদেরই।
ওই মামলার ‘অ্যাডভোকেট অন রেকার্ড’ হিসেবে থাকা আইনজীবী বলছেন, দুই আপিলের সমন্বয়হীনতার দায় আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখার।
আবার আসামিপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্য, কারা কর্তৃপক্ষের অসতর্কতার কারণেই এমন ঘটেছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ঝড়ু ও মকিম নামের ওই দুই আসামির অকার্যকর হয়ে পড়া নিয়মিত আপিল শুনানিতে এ চিত্র উঠে আসে।
পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি মঙ্গলবার (আজ) ফের শুনানির জন্য রেখে আপিল বিভাগের দিনের কার্যক্রম শেষ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকার সাবেক স্থানীয় ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেন খুন হন।
সেই মামলায় ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল বিচারিক আদালত ঝড়ু, মকিমসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
পরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে শুনানির জন্য আসে। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে হাই কোর্ট রায় দেয়। রায়ে ঝড়ু ও মকিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
এর বিরুদ্ধে ওই বছরই তারা নিয়মিত আপিল করেন, যার নম্বর হচ্ছে ১০৭/২০১৩ এবং ১১১/২০১৩। ‘ঝড়ু বনাম রাষ্ট্র’ শিরোনামে আপিল দুটি গত বুধবার (৩ নভেম্বর) ১১ নম্বর ক্রমিকে ছিল। এর আগের দিন ছিল ৩০ নম্বর ক্রমিকে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ঝড়ু ও মকিমের আইনজীবী আসিফ হাসান ও হুমায়ুন কবির দাবি করেন, আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগেই দুই আসামির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। চার বছর আগে ঝড়ু ও মকিমের ফাঁসি হয়েছে।
নজিরবিহীন এ ঘটনা গণমাধ্যমে এলে নড়েচড়ে বসে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও বিচার বিভাগ।
পরদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, হাইকোর্টের রায়ের পর ওই দুই আসামি কারাগার থেকে জেল আপিল করেছিলেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ওই জেল আপিলের শুনানি হয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চে। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগ সেই জেল আপিল খারিজ করে দেয়। পরে দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।
২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর হলে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এ অবস্থায় ওই দুই আসামির করা নিয়মিত আপিল অকার্যকর হয়ে যাবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঝড়ু ও মকিমের নিয়মিত আপিল দুটি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলে একজন আসামি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপলি করতে পারেন। বিচারিক আদালতের রায় প্রকাশিত হলে তা যুক্ত করে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সেই আপিল আবেদন জমা দিতে পারেন। একে বলে নিয়মিত আপিল।
আসামি যদি নিয়মিত আপিল নাও করেন, মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষই তাকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আপিল করার সুযোগ দেয়। একে বলে জেল আপিল।
কোনো মামলায় দুই ধরনের আপিলই যদি হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মিত আপিলকেই আপিল হিসেবে গণ্য করে শুনানি করে উচ্চ আদালত বা সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু
এ মামলার ক্ষেত্রে আসামি ঝড়ু, মকিমের জেল আপিলের ভিত্তিতেই আপিল বিভাগ রায় দেয় এবং তাদের দণ্ড কার্যকর হয়, যদিও তাদের করা নিয়মিত আপিল তখনও শুনানিতে আসেনি।
শুনানিতে যা হল
এ মামলার জেল আপিলে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা। আর আসামি ঝড়ুর নিয়মিত আপিলের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড ছিলেন আইনজীবী সুফিয়া খাতুন।
শুনানির শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আসামি ঝড়ু ও মকিম জেল আপিল করেছিলেন। ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর শুনানি হয়েছে। পরে ওই দিনই ১৪ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা হয়।
প্রধান বিচারপতি তখন আইনজীবী সুফিয়া খাতুনকে বলেন, “আপনি কি এটা জানেন না? জেল আপিলের পর যখন নিয়মিত আপিল হয়, তখন একটা আবেদন দিয়ে দুটিকে একসাথে কনভার্ট করে নিতে হয়?”
আইনজীবী সুফিয়া খাতুন বলেন, “এ মামলায় মক্কেল আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। কোনো ফাইল দেয়নি। মামলা যিনি দিয়েছেন তাকে যথাসময়ে জানিয়েছি। কিন্তু তারপর আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন আইনজীবী মো. রুহুল আমিন তুহিন জানিয়েছিলেন তিনি এ মামলার আইনজীবী। তিনি ছাড়া আর কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি। আসামির পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ হয়নি।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলায় আপিল বিভাগে রায় হয়েছে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর। আর কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে দেখা করার জন্য চিঠি দেয় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর। রায়ের এক বছর পর। চিঠির পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতও করেছেন। রায় কার্যকর হয় ১৭ নভেম্বর।
“এই এক বছর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কিছুই করলেন না। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করলেন ২২ অক্টোবর ২০১৭ সালে। এতটা সময় পেল তারপরও তার কোনো আইনজীবী কিছুই জানায়নি।”
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে আইনজীবী হুমায়ন কবির আমাকে এ মামলায় যুক্ত করেন। তিনি এ মামলাটি করে দিতে বলেন।
“পরে আমি বললাম তুমি মামলায় আসামিদের পরিবারের খোঁজ নাও, আমি একটু পড়ে দেখি। এরপর মামলাটি নিয়ে আমি প্রস্তুত হলাম। ওইদিন রাতে (গত বুধবার) আইনজীবী হুমায়ন কবির আমাকে জানান, এ মামলায় আসামিদের সাজা কার্যকর হয়ে গেছে।”
আইনজীবী আসিফ বলেন, “ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি শুনে আমি বললাম অসম্ভব, এটাতো হতে পারে না। আপিল পেন্ডিং (বিচারাধীন) থাকা অবস্থায় এটা কীভাবে হয়! তখন আমি হুমায়ন কবিরকে বললাম তুমি আরও খোঁজ নাও।
“তারপর বার বার খোঁজ নেওয়ার পরে তিনি নিশ্চিত হলেন আসামিদের ফাঁসি হয়ে গেছে। তখন আমি তাকে বললাম ঠিক আছে আমি কোর্টকে জানাই। এটা তো হতে পারে না। শত বছরেও এমনটি হয় না। পরবর্তীতে পত্রপত্রিকা ও অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে জানলাম এটাতে জেল আপিল ছিল।”
তিনি বলেন, আসামির পরিবারের সদস্যরা শিক্ষিত নন, অজপাড়া গাঁয়ে থাকেন। তারা জেল আপিল কী তাও হয়ত বোঝেন না।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তখন এ আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া মানা হয়েছে কিনা।
জবাবে আইনজীবী আসিফ বলেন, “একটু ইয়ে আছে। যেহেতু আমাদের কোর্টের একটা রুলস আছে।”
বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপিল শুনানি শেষে রায়, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা- সব কিছু হয়েছে কিনা?”
আইনজীবী বলেন, “এগুলা হয়েছে। তবে কারা কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কারণ হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযায়ী নিশ্চয় বর্তমান আপিলের নোটিস জেলখানায় গিয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ফাঁসি কার্যকর পর্যন্ত চার বছরে নোটিস পৌঁছাবে না, এটা অসম্ভব ব্যাপার। এটা তো অবশ্যই গেছে। তাদের উচিত ছিল, যেখানে একজন মানুষের জীবন নিচ্ছে তাদের সতর্ক হওয়া।”
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তখন বলেন, “তাদের যেমন উচিত ছিল, অ্যাডভোকেটেরও উচিত ছিল না? যখন জেল আপিল নিষ্পত্তি হয়ে গেল। এটা তো আমরা জানতে পারিনি। কেউ জানায়নি।”
এ সময় বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, “আপিলটা ফাইল করে তো আপনারা একটা দরখাস্ত করবেন স্টে (রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত) নেওয়ার জন্য।”
আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, “আমরা ফাইল (নিয়মিত আপিল) করলেই ধরে নেই যে ইনফর্ম হয়ে গেছে।”
বিচারপতি নূরুজ্জামান পাল্টা প্রশ্ন করেন, “তাহলে স্টে করার বিষয়টি কেন আসে?”
আইনজীবী আসিফ পরে শুনানির এক পর্যায়ে এ সংক্রান্ত নীতিমালা চান সর্বোচ্চ আদালতের কাছে। সাথে ফাঁসি কার্যকর হওয়া ঝড়ু ও মকিমের পরিবারের জন্য যদি কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়- সেই আবেদন করেন।
কিসের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা বললেন- আইনজীবী আসিফের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আর বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, “যে আইনজীবী ভুল করেছেন তাকে বলেন। তিনি কিছু দিয়ে দিক।”
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আইনজীবী আসিফ হাসানের কাছে জানতে চান, “জেল কর্তৃপক্ষের দোষটা কোথায়? আপিল বিভাগ থেকে অন ম্যারিটে জাজমেন্ট হয়েছে, মাহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রর্থানা খারিজ হয়েছে, পরে রায় কার্যকর করা হয়েছে।”
আইনজীবী আসিফ হাসান তখন বলেন, “আইনগত কোনো ভুল নাই।”
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তখন বলেন, “তাহলে জেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন কেন? যেহেতু মামলা লিস্টে আসছে, শুনানি হয়েছে, উচিত ছিল আ্যাপিয়ার করা। জেল আপিলের সাথে এটা ট্যাগ করে দিতে পারতেন। আপনারা দোষটা স্বীকার করেন না কেন?”
আসিফ হাসান বলেন, আইনগতভাবে সবই ঠিক আছে।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, রায় হওয়ার সাথে সাথে এই আপিলটা (নিয়মিত আপিল) অকার্যকর হয়ে গেছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আইনজীবী আসিফ হাসানকে বলেন, “নিচের আদালতে দণ্ডিত, আপিল বিভাগেও দণ্ডিত সব ধরনের প্রক্রিয়ায়। জেলখানায় তাদের স্বজনরা দেখা করল, সবকিছুই হল। পত্রিকায় যেভাবে নিউজটা এল, আপনাদের এগিয়ে আসা উচিত ছিল। এগিয়ে এসে বলা উচিত ছিল ঘটনাটা এরকম।”
আইনজীবী আসিফ হাসান এসময় বলেন, “সেইটা বলার জন্যই আমি অপেক্ষা করছি।”
আরও কিছু আলোচনার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আচ্ছা আগামীকাল এটা থাকুক। আগামীকাল এক নম্বর থাকবে এটা।”
এ সময় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, “আমাকে বাদ দিয়ে দেন, যেহেতু আমি এ মামলার ফাইলিং ল’ইয়ার ছিলাম।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “বলা হয়েছে যে, আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সাথে সাথে অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব খবর নিলেন, আমার এখানে আসলেন রাতে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “যেভাবে (পত্রিকায়) আসছে এটা ঠিক না। সাংবাদিকদের প্রপার ইনফরমেশন দেওয়া হয় নাই।”
বিচারপতি নূরুজ্জামান বলেন, “মানুষ এটা পত্রিকায় দেখে আমাদেরকে, কোর্টকে কত সমালোচনা করেছে। তারা কি ভেতরের এসব ঘটনা জানে? টকশোতে কত কথা বলা হচ্ছে!”
আইনজীবী আসিফ হাসান তখন বলেন, “এসব (রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন নাকচের পর ফাঁসি কার্যকর) কারো জানা ছিল না।”
এ সময় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, “অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব আপনার কলিগরা, অ্যাডভোকেট সাহেবরা, তারা কমেন্ট করতেছেন। তারা কোনো কিছু না দেখে কমেন্ট করতেছেন, এটা কি ঠিক হল?”
বিচারপতি নুরুজ্জামান বলেন, “অ্যাডভোকেট শিশির মনির কি আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত? সে যেভাবে মন্তব্য করেছে যে, সবাই দোষী। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, কোর্ট, বিচারক, এক্সিকিউট যারা করেছে তারা সবাই দোষী।
“উনি কিছু না দেখে কেন এরকম মন্তব্য করলেন? আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে আমরা কেউ প্রিজাডিং অফিসার, কেউ কোর্ট অফিসার। এরকমভাবে কোর্টকে অ্যাটাক করা, এটা তো খুব খারাপ। প্রয়োজনে তো সবাই কোর্টে আসে, সবাই রিলিফ নেয়, সবাই রিলিফ পায়।
“কোর্টের সামান্যতম কোনো ত্রুটি হইলেই এরকম করে অ্যাটাক করা, এটা তো খুবই দুঃখজনক। আমরা তো কোনো অ্যাডভোকেট সাহেবকে এরকমভাবে অ্যাটাক করি না, পানিশমেন্ট দিই না। আমরা তো চেষ্টা করি কোনো একটা ভুল হলে ভুলটা শুধরে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়।”
এরপর প্রধান বিচারপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আপিল বিভাগের দিনের কার্যক্রম শেষ করেন।
সূত্র- বিডিনিউজ