দেশের বিভিন্ন আদালতে প্রতিদিনই অসংখ্য বিচারপ্রার্থী নারী ও শিশুদের সমাগম ঘটে। কখনো কখনো আদালতে থাকতে হয় সারাদিনই। কিন্তু দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে দেশের বেশিরভাগ আদালতে নারী ও শিশুদের জন্য বসার কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা নেই বললেই চলে।
এছাড়া বেশিরভাগ আদালতে তাদের জন্য নেই কোন আলাদা শৌচাগার, স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য পাওয়া যায়না ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণারও। আর যেসব জায়গায় রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
ফেনীর আদালতে এই সমস্যা চোখ এড়ায়নি জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার। বিচারপ্রার্থী নারী ও শিশুদের জন্য ‘মমতা নারী ও শিশু কর্ণার’ -এর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
দুই কক্ষ বিশিষ্ট এই কর্নারের অসহায় নারী ও শিশুদের জন্য রয়েছে শৌচাগার, বসার জায়গা, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ওয়াশিং বেসিন।
কর্ণারটি উদ্বোধনকালে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বলেন, প্রতিদিন অনেক নারী ও শিশুকে আদালতে আসতে হয়। বেশিরভাগ সময় তাদের সারাদিন আদালতে থাকতে হয়। কিন্তু তাদের বসার বা বিশ্রাম নেওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। তাদের জন্য কোন শৌচাগার ছিল না। স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য কোন বুকের দুধ খাওয়ানোর জায়গা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, অসহায় নারী ও শিশুদের জন্য আমাকে একটি কর্নারের ব্যবস্থা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। এই ‘মমতা নারী ও শিশ কর্ণারে’ দুটি কক্ষ এবং ভিতরে একটি শৌচাগার রয়েছে। একটা ঘর বসার জন্য। অন্য কক্ষটি স্তন্যপান করানোর ঘর। ঘরের ভিতরে একটি ওয়াশিং বেসিনও রয়েছে। পুরো কর্ণারটি যথেষ্ট প্রশস্ত।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ ওসমান হায়দার, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কায়সার মোশাররফ ইউসুফসহ অন্যান্য বিচারকগণ উপস্থিত ছিলেন।