হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) পজিটিভ রিপোর্ট দিয়ে এক ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)।
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কাবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ওই ব্যক্তির এইচআইভি পজিটিভ হয়েছে উল্লেখ করে সৌদি দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু পরে অন্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার এইচআইভি হয়নি।
এরপর এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগীর পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদনটি সরিয়ে নিতে বলেন এবং কেন ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেন।
পাশাপাশি ওই ব্যক্তির সত্যিকার অর্থে এইচআইভি পজিটিভ হয়েছিল কি না সেটি খোঁজখবর নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।
তারই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন।
তিনি জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই ব্যক্তি এইচআইভি নেগেটিভ। এমন ভুল তথ্য দিয়ে ক্ষতি করায় আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবো।
এ বিষয়ে আগামী বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে বলেও জানান ব্যারিস্টার সুমন।