সদ্য সমাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল অবিলম্বে ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ভোটে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ. ওয়াই. মশিউজ্জামানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যের উপর নগ্ন হামলা এবং ফলাফল প্রকাশে বাধাদানকারী বহিরাগতদের ভিডিও দেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এ কর্মসূচির অন্যতম এজেন্ডা।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের এই সংগঠনটির সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের উদ্যোগে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে আগামীকাল (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ত্রিমুখী জটিলতার কারণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণের ১৫ দিন পার হলেও নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
প্রথমত, সম্পাদক পদ নিয়ে সরকারপন্থীদের (সাদা প্যানেল) ভোট পুন:গণনার দাবি। দ্বিতীয়ত, তাদের এই দাবির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়কের পদত্যাগ। তৃতীয়ত, সরকারপন্থীদের দাবি অনুযায়ী সমস্যা সমাধানে নতুন আহ্বায়ককে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আপত্তি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের জন্য এমন পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন ও বিব্রতকর আখ্যা দিয়ে জ্যেষ্ঠ আইনবিদেরা বলছেন, এ সমস্যার দ্রুত সুরাহা হওয়া উচিৎ।
সাদা প্যানেল সমর্থিত আইনজীবীরা সম্পাদক পদের ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পুন:গননার দাবিতে এখনো অনড় রয়েছেন। ভোটের পর প্রায় প্রতিটি কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সরকারপন্থী আইনজীবীরা অবস্থান ও সমাবেশ করছেন।
অন্যদিকে নীল প্যানেলের আইনজীবীরা বলছেন, ভোটে তাদের সম্পাদক প্রার্থী এগিয়ে আছেন। পুনরায় ভোট গণনায় কোনো বিধান নেই এবং এর প্রয়োজনও নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২০২৩ মেয়াদের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। সমিতির অডিটোরিয়ামে একযোগে ৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮ হাজার ৬২৩ জন। তবে দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৫ হাজার ৯৯১ জন আইনজীবী।
প্রতিবছরের মতো এবারও সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সম্পাদকীয় ৭টি ও সদস্য পদ রয়েছে ৭টি। এবারের নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে ৩৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।