পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। লালু প্রসাদ বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান।
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল বিহারের পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচির সিবিআইর বিশেষ আদালতের বিচারক শিবপাল সিং এই রায় দেন। গত ২৩ ডিসেম্বর একই আদালত ওই মামলায় লালু প্রসাদসহ ১৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
আদালত আজ শনিবার নিরাপত্তার কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রায় ঘোষণা করেন। তবে তিন দিন ধরে এই রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তা পিছিয়ে দিয়ে আজ করা হয়। যদিও লালু প্রসাদ যাদব তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন।
সর্বমোট ৮৯ কোটি রুপির পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতি নিয়ে বিহারের সিবিআই আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। ২০১৩ সালে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার জন্য ভুয়া ভাউচার দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিবিআইর করা মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ রুপি জরিমানা হয় লালু প্রসাদের। ওই মামলার পর লালু প্রসাদ তাঁর সাংসদ পদ হারান এবং তাঁকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে লালু প্রসাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।
২৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষিত হয় দেওঘর ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য কেনার দুর্নীতি মামলার। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ভুয়া ভাউচার দাখিল করে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯ লাখ ২৭ হাজার রুপি আত্মসাৎ করে।
এই মামলায় অবশ্য ২৩ ডিসেম্বর বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রসহ সাতজনকে বেকসুর খালাস দেন সিবিআইর ওই বিশেষ আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হয় লালু প্রসাদ যাদবসহ ১৬ জনকে। রায় ঘোষণার পর পুলিশ ওই দিনই লালু প্রসাদকে নিয়ে যায় বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এদিকে রায় ঘোষণার পর আরজেডি জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম