প্রতারণামূলকভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের দায়ে বরখাস্তকৃত পোস্ট মাস্টার শ্রীবাস চন্দ্র দে কে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ.এন.এম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত শ্রীবাস চন্দ্র দে লক্ষ্মীপুরের রাধাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম নারায়ণ চন্দ্র দে।
রায়ে মামলার একমাত্র আসামি শ্রীবাস চন্দ্র দে কে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন বিচারক। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত আসামিকে করে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করেন। আসামির বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা সমূহ যুগপৎ (Simultaneously) চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
আসামি শ্রীবাস চন্দ্র দে ৬ জন আমানতকারীর থেকে ৩৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা গ্রহণপূর্বক পাশবহিতে লিপিবদ্ধ করলেও সরকারি কোষাগারে জমা দেননি।
এ ঘটনায় প্রতারণামূলকভাবে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাত করায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
কমিশনের অনুমোদন নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার সকল বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।