‘গাংনীতে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে চলছে মাটি কাটার ধুম’ শিরোনামে ১৬ জানুয়ারি দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি গাংনী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্’র নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে আদালত এই আদেশ প্রদান করেন। আদেশে গাংনী থানার এস, আই মো: শাহীন মিয়াকে তদন্তপূর্বক আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক হয়ে থাকলে তা বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী একটি অপরাধ যার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা এবং ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেল লাইন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে উন্মুক্ত স্থান থেকে কোন বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ।
এর আগে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ধর্মচাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের পাশে একটি বিল যা ধর্মচাকী বিল নামে পরিচিত সেখান থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
এতে স্কুল সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বিঘ্ন ঘটছে এবং খেলার মাঠের ক্ষতি হচ্ছে তথা জনভোগান্তি ও জনউপদ্রবের কারন হচ্ছে বলেও সংবাদে বলা হয়। এমনকি মাটি কাটার কারনে স্কুল ও খেলার মাঠ ভেঙে পড়ার আশংকার কথাও পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়ে।
জনস্বার্থ বিবেচনায় গাংনী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১)(গ) ধারা অনুযায়ী স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।