সারাদেশের সব আদালত ও আইনজীবী সমিতিতে থাকা ঐতিহাসিক দলিলপত্র ও মূল্যবান সামগ্রীর তথ্য চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে এসব তথ্য সংরক্ষণের জন্য জেলা জজ ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জারি করা স্মারকের তথ্য মতে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে বা ই-মেইলে এসব তথ্য দিতে বলা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান সই করা স্মারক সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সব জেলা জজের কাছে পাঠানো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘর কমিটির ৬ ফেব্রুয়ারির সভায় সারাদেশের অধস্তন আদালত ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংরক্ষিত আদালত সম্পর্কিত মূল্যবান সামগ্রী ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্দেশে তথ্য পাঠানোর জন্য দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ বরাবরে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এমতবস্থায় দেশের সব জেলার অধস্তন আদালতে ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংরক্ষিত বা গোচরীভূত আদালতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন পুরাতন মূল্যবান সামগ্রী ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্দেশে উল্লিখিত বিষয়ক তথ্যাবলী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবিসহ) আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে ও ই-মেইলে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সব জেলা জজকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট: ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার
সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘর
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় তালপাতায় লেখা রায় স্থান পায় জাদুঘরে। যেটা ৩০৪ বছর আগে ১৭১০ সালের একটি মামলার রায়। ওই রায় লেখা হয়েছে তালপাতায়। সংস্কৃত ভাষায় লেখা ওই রায়ের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত থেকে।
রাজশাহী অঞ্চলের পাবনা মহকুমায় ১৮৬৭, ১৮৭০ এবং ১৯০৮ সালের বাংলা, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় ৩টি রায় এবং ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কার্যবিবরণীর (সাত খণ্ড) দলিল রয়েছে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান (প্রভিশনাল সংবিধান) আদেশ, ১৯৪৭ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া হাইকোর্টে ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী ও নথি।
ঢাকা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ব্যবহৃত পদমর্যাদাসূচক টুপি, পুরাতন টাইপ রাইটার, দেয়াল ঘড়ি, পিতলের ট্রফি, চেয়ার, টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, দাঁড়িপাল্লা ও বাটখারা, কলম ও নিব, রেপ্লিকা ইত্যাদি।