‘একমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দাবিদার’

একমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দাবিদার মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রায়ের কপি দেবে আদালত। প্রতিটি মামলায় দু’টি পক্ষ থাকে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। কিন্তু রায়ের কপি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পক্ষ নাই। এই রায়ের পাতার সংখ্যা ৬৩২। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে পারি, রায়ের কপি পেতে হলে রায়টা কত বড় তার ওপর নির্ভর করে। শুধু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের কপি হাতে ধরিয়ে দেওয়া জরুরি। তারাই একমাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দাবিদার। অন্যান্য ক্ষেত্রে রায় লিখতে যে সময়টুকু প্রয়োজন তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সরকারের এখানে কোনও হাত নেই।’

আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তারা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। গণস্বাক্ষরের নামে তারা কার সম্পত্তি লিখে নেয় তা আপনারা বুঝে দেইখেন। সাদা কাগজে সই দিয়েন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি একটি দল যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী না, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না। তারা ক্ষমতায় থেকে কিনা করেছে। তাদের আমলে বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করায়। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেছেন। তার জন্য মামলা করেছে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলা কোনও রাজনৈতিক মামলা না। সেই আমলে আড়াই কোটি টাকার বর্তমান মূল্য ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। এতিমদের টাকার জন্য সাজা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক বয়স, সামাজিক অবস্থান এবং শারীরিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কনসিডারেশনে ৫ বছর সাজা দিয়েছেন। যদিও আরও বেশি দেওয়া উচিত ছিল।’

আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ অনেকে।