৫ আগস্টের পর ঢালাওভাবে মামলা হওয়ার বিষয়টিকে সঠিক মনে করছেন না আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনিস্টিউটে বিচার বিভাগ সংষ্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে অহরহ গায়েবি মামলা হতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সরকার কোনো মামলা করছে না। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঢালাওভাবে গায়েবি মামলা দায়ের করে আসছে, যা বর্তমান সরকারের জন্য বিব্রতকর। এই সংকট মোকাবিলায় করণীয় প্রসঙ্গে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অংশীজনদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।
এ সময় বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে যুগোপযোগী করতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিচার প্রশাসনে রাজনীতিকীকরণ ঠেকাতে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। ২০০৮ সালে বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা বাতিল করা হয় বলেও জানান তিনি।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কাজের প্রশংসা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যেভাবে কাজ করছে তাতে সরকার আশাবাদী।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যেভাবে কাজ করছে, তা বাস্তবায়ন করা হলে বিচার বিভাগে কোনো সমস্যা থাকবে না। পরবর্তী সময়ে নতুন আইনে প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় দ্রুতই কমিশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকা সরকারকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা দেওয়া হবে বলে জানান কমিশনের সদস্য সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী।
এর আগে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাইম নাঈম মোমিনুর রহমান ছাড়াও কমিশন সদস্য হাই কোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাজদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন প্রমুখ।