ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে নোমান গ্রুপের ২ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা
মামলা (প্রতীকী ছবি)

বার নির্বাচন ঘিরে হামলার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ঘিরে হামলার অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত ১১ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এতে বহিরাগত আরও ৩৫ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

হামলার শিকার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিন সিকদার (৩৪) বাদী হয়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর থানায় মামলাটি করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- পটুয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি শরীফ মো. সালাহউদ্দিন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. মাহবুবুর রহমান, আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মাস্টার, এস এম তৌফিক হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন (সাবু), মো. আরিফুর রহমান, মো. নাজমুল আহসান, মজিবুল হক বিশ্বাস, মো. আবু জাফর খান ও মো. ইমরান হোসেন।

আরও পড়ুনহাইকোর্টের আদেশে পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত

মামলায় জেলা জামায়াতের আমির আইনজীবী মো. নাজমুল আহসানসহ দলীয় আটজন আইনজীবীকে সাক্ষী করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম ক্রয় ও জমা এবং টাকা দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ওই দিন সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক, লাইব্রেরি সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও সদস্য পদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্যানেলের আইনজীবীরা মনোনয়ন ফরম ক্রয় ও জমা দিতে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হন।

এ সময় পটুয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. সালাহউদ্দিনসহ বাকি আসামিরা বাধা দেন। এরপর তাঁর নির্দেশে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বাদী ও তাঁর সঙ্গে থাকা জামায়াতপন্থী আইনজীবী প্রার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করেন। বাদী এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর পকেটে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন আসামিরা। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন তপন জানান, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসানের সাথে কথা বলে একটা মীমাংসা করে দিয়েছি। তবে এরপরও মামলা হবে এমনটা প্রত্যাশা করি নাই। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত বোধ করছি।’