‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’–এর চারটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট শুনতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রিট শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অবকাশের পর আগামী ২২ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।
ওই অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন, যা গত সোমবার (১৭ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি বিব্রত বোধের কথা জানিয়ে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে আদেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে বিষয়টি পাঠান। বেঞ্চটির গতকাল মঙ্গলবার কার্যতালিকায় রিটটি ১২২ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী মো. আজমল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ নিয়ে রিটের নথি যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালত অবকাশের পর শুনবেন বলেছেন। ২২ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ ২০ মার্চ শুরু হচ্ছে, অবকাশ শেষে ২০ এপ্রিল নিয়মিত আদালত বসবেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’ শিরোনামে অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ২৩ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন। এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
আইনি নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন তিনি। অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। অধ্যাদেশের ৩ ধারায় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, ৪ ধারায় কাউন্সিল সচিব, ৬ ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি এবং ৯ ধারায় আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগবিষয়ক সুপারিশ সম্পর্কে বলা রয়েছে।
রিটের আবেদনে দেখা যায়, ওই ধারাগুলো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অধ্যাদেশটির কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।