বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এশিয়ার বৃহত্তম বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে বিকেল ৫টায়। মাঝে এক ঘণ্টার জন্য বিরতি থাকবে। বুধবারও (২৮ ফেব্রুয়ারি) একইভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর শুরু হবে ভোট গণনা।
২৭টি পদের বিপরীতে ৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ নির্বাচনে। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৭ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৭ জন। নির্বাচনে মৌসুমি বেগম নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ২২ হাজার ২৫ জন সদস্যের মধ্যে ১৬ হাজার ১২৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তার নেতৃত্বে ২০ জন কমিশনার এবং ১৮০ জন সদস্য ১২০টি বুথে দুই দিনব্যাপী এই নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহ-সভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার পদে আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটয়ারী, লাইব্রেরি পদে এম মনিরুজ্জামান মানির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তাছলিমা আক্তর রিতা, দফতর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর এবং খেলাধুলা সম্পাদক পদে সাদিয়া আফরীন শিল্পি।
সদস্য পদে আব্দুর রব খান পল্লব, আসাদুজ্জামান বাবু, মো. হাসান আকবার আফজাল, সুমন মিয়া, মো. নুরুদ্দিন, শেখ সাইফুর রহমান সুমন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান টিপু, মোহা. আহসান হাবীন, সাদিয়া আফরোজা, সাবিনা আক্তার দিপা, মির্জা মো. জামাল হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম, সফাত নাহার সুমি ও তুষার ঘোষ।
উল্লেখ্য, প্রার্থীদের মধ্যে সাদা প্যানেলের সভাপতিসহ ১৩ জনই গতবারের পরাজিত প্রার্থী। ২০১৭-২০১৮ কার্যবর্ষের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল মাত্র ছয়টি পদে জয়লাভ করে।
নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা খান, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেইন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভুইয়া ছোটন, লাইব্রেরি পদে এ বি এন ইফতেখারুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দফতর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হয়দার জীবন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন এবং খেলাধুলা সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান।
সদস্য পদে একতানদার হোসেন হাওলাদার বাপ্পি, হান্নান ভুইয়া, জাকিয়া সুলতানা মিষ্টি, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মুকতাদির আহমেদ কাজল, মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মো. শাহীন হোসেন, মো. জাহেদ উল আলম জতি, মেহেদী হাসান বাদল, মো. ইব্রাহিম স্বপন, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোসা. জেবুন্নেছা খানম জীবন, নজরুল হক সুভা, শারমিন জাহান শিমু ও জহুরা খাতুন জুঁই।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ মেয়াদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদেই জয়ী হন আওয়ামী সমর্থীত আইনজীবীরা। অপরদিকে বিএনপি সমর্থীত নীল প্যানেল পেয়েছিলেন ৬টি পদ।