সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাহী আদেশে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, Rules of Business, 1996 অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের আওতায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর (বুধবার) এক দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলো। এদিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরি পরিষেবাসমূহ এ ছুটির আওতাভুক্ত নয়। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ জ্বালানি সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এসব সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
হাসপাতাল ও জরুরি চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মী এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহনও ছুটির বাইরে থাকবে। জরুরি কাজে সম্পৃক্ত অফিসসমূহও খোলা থাকবে।
ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত নির্দেশনা দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রপরিষদ। বুধবার থেকে শুক্রবার তিন দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের আপসহীন নেত্রীর মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার গভীরভাবে শোকাহত।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শোক পালনকালে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মাগফিরাত কামনায় আগামী শুক্রবার (০২ জানুয়ারি) দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

