বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ

আবরার হত্যা মামলায় নাজমুস সাদাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বুয়েট শিক্ষার্থী এ এস এম নাজমুস সাদাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ( ২২অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে তথ্য জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আসামি নাজমুস সাদাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর সাদাতকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর নাজমুস সাদাতকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১)। পরদিন ৭ অক্টোবর আবরার হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে ৭ অক্টোবর দুপুরে দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

৭ অক্টোবর রাতে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ।