মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের অপারগতা
মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের অপারগতা

আদালত পরিবর্তনে মিন্নির আবেদন শুনানি বুধবার

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলা বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে ট্রান্সফার (বদলি) চেয়ে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এ দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের জবাবে মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, বিরতিহীনভাবে এ মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন বরগুনার আদালত।

এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, এভাবে সাক্ষ্য নিতে বাধা আছে কি? আইনজীবী বলেন, বাধা নেই। তবে একটি মামলার ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়ো কেন। যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হয় তাহলে দেশের সব মামলার ক্ষেত্রেই তা হতে হবে।

আদালত বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সাক্ষী আদালতে হাজির হলে তার বক্তব্য রেকর্ড করতে হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান বলেন, আবেদনকারী মিন্নি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে আমি এখনও কোনো ডকুমেন্টস পাইনি। তাই আমার সময় প্রয়োজন। এ সময় আবেদনে আপত্তি জানান মিন্নির আইনজীবী।

তখন আদালত বলেন, আমরা তো আপনার আবেদন শুনব। এরপর আদালত শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে মামলা ট্রান্সফার (বদলি) চেয়ে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আবেদন করেন। বরগুনায় তার জীবনের শঙ্কা থাকায় এ আবেদন করা হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, হাসান, মুসা, আয়েশাসিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। বর্তমানে মামলাটি বরগুনার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।